বাংলা স্কুপ, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪:
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ লুটেরা। লুটতরাজ আর দুর্নীতি করে তারা এখন পালিয়েছে। এরা খুনি, তাদের বাংলাদেশের মাটিতে বিচার চাই।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারিগঞ্জ এলাকার হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, যদি আজকে আওয়ামী লীগ সরকার থাকতো, কর্তৃত্ববাদী শাসক থাকতো, ফ্যাসিবাদী শাসক থাকতো। তাহলে মানুষ ত্রাণ পেতো না। এখন সবাই ত্রাণ পাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এ্যানি বলেন, মানুষ অসহায়, তাদেরপাশেএসে দাঁড়ান। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি ঘরে ঘরে আরো ত্রাণ পৌছে দিন।
এগ্রিকালচারিস্টস’ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)এর আয়োজনে ত্রাণ বিতরণের এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, এ্যাবের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন।
এসময় ইশরাক তাঁর বক্তব্যে বলেন, একজন রাজনীতিবিদের প্রথম কাজ হলো দূর্গত, অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির পাশে দাঁড়ানো। একই সঙ্গে যেকোন প্রয়োজনে বা পরিস্থতিতে রাজনীতিবিদদের মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করছি। বর্তমানে ১১টি জেলায় মানুষ অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে এসেছি। বন্যার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ‘সারা বাংলাদেশে তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি আজ সুসংগঠিত। ছাত্র-জনতার অভ্যূথানে নতুন স্বাধীনতায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তরুণ এ নেতা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম শফিক,কৃষিবিদ নুরুন্নবী ভুইয়া শ্যামল,কৃষিবিদ শেখ মো. শফি শাওন,কৃষিবিদ সিরাজুন্নবী মামুন ,কৃষিবিদ ড. আশরাফুল আলম জিমি,কৃষিবিদ ওসমান গনি তুহিন, কৃষিবিদ লুৎফুর রহমান মৃদুল,কৃষিবিদ আমীর ফয়সাল, কৃষিবিদ শরিফ হোসেন খান।
আরও ছিলেন এ্যাব ঢাকা জেলার সভাপতি কৃষিবিদ ইয়ার মাহমুদ,এ্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ কেএম সানোয়ার আলম, কৃষিবিদ সম্পদ আহমেদ প্রিন্স,কৃষিবিদ ডা. নেওয়াজ শরীফ,সাবেক ছাত্রনেতা ও বাগেরহাট জেলা কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মইনুদ্দীন আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মাকসুদ হাওলাদার প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এসকে